Monday, December 19, 2016

নবিগন কবরে জীবিত কি না আসুন দেখি..


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------
                                                            ****নবিগন কবরে জীবিত****
১.

নবিগন কবরে জীবিত

নবীগণ মৃত্যুর পর কবরে জীবিত আছেন। সেখানে তারা সেখানে নামায আদায় করছেন। তাদের কবরের পাশে গিয়ে সালাম দিলে তারা শুনতে পান। তাদেরকে সেখানে রিজিক দেয়া হয়।

@উপরোক্ত প্রতিটি বিষয় হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।তাই আমরা নবীদের ক্ষেত্রে এ আকিদা পোষণ করে থাকি। বাকি এর পূর্ণ অবস্থা আমাদের জানা নেই।

وَلاَ تَقُولُواْ لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبيلِ اللَّهِ أَمْوَاتٌ بَلْ أَحْيَاء وَلَكِن لاَّ تَشْعُرُونَ (سورة البقرة-154)

আল্লাহর পথে যারা শহীদ হয় তাদের তোমরা মৃত বল না। বরং তারা জীবিত। তবে তা তোমরা উপলব্ধি করতে পারো না। {সূরা বাকারা-১৫৪}

উক্ত আয়াতের স্পষ্ট ভাষ্য থেকে প্রতীয়মান হয় যে, শহীদগণ কবরে জীবিত। আর ইংগিতের সাথে একথাও বুঝাচ্ছে যে, নবীগণও কবরে জীবিত। কেননা নবীগণের মর্যাদা শহীদদের তুলনায় অনেক উর্দ্ধে। সুতরাং শহীদগণ যদি কবরে জীবিত থাকেন, তাহলে নবীগণ কেন হবেন মৃত? তারা অবশ্যই জীবিত।

@হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ইরশাদ করেছেন-

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْأَنْبِيَاءُ أَحْيَاءٌ فِي قُبُورِهِمْ يُصَلُّونَ»

[حكم حسين سليم أسد] : إسناده صحيح

নবীগণ কবরে জীবিত। তারা সেখানে নামায আদায় করেন। {মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৩৪২৫}

মুহাদ্দিসীনদের ঐক্যমত্বে এ হাদীসটি সহীহ।
@
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” أَتَيْتُ – وَفِي رِوَايَةِ هَدَّابٍ: مَرَرْتُ – عَلَى مُوسَى لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي عِنْدَ الْكَثِيبِ الْأَحْمَرِ، وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي قَبْرِهِ “

হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমি মেরাজের রাতে কাসীবে আহমার স্থান অতিক্রমকালে দেখতে পাই হযরত মুসা আলাইহিস সালাম উনার রওজায় নামায পড়ছেন। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৩৭৫}

@
 عن أبي الدرداء قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ( أكثروا الصلاة علي يوم الجمعة . فإنه مشهود تشهده الملائكة . وإن أحدا لن يصلي علي إلا عرضت علي صلاته حتى يفرغ منها ) قال قلت وبعد الموت ؟ قال ( وبعد الموت . إن الله حرم على الأرض أن تأكل أجساد الأنبياء فَنَبِيُّ اللَّهِ حَيٌّ يُرْزَقُ (سنن ابن ماجه، كتاب الجنائز، باب ذكر وفاته صلى الله عليه و سلم، رقم الحديث-1637)

হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-তোমরা জুমআর দিন বেশি বেশি করে দুরুদ পড়। নিশ্চয় ফেরেস্তারা এর উপর স্বাক্ষ্যি থাকে। আর যখন কেউ আমার উপর দুরুদ পড়ে তখনই তা আমার নিকট পেশ করা হয়। আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন-আমি জিজ্ঞাসা করলাম-মৃত্যুর পরেও কি তা পেশ করা হবে? উত্তরে তিনি বললেন-হ্যাঁ!, কেননা আল্লাহ তায়ালা জমিনের জন্য নবীদের দেহ ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন। আর নবীরা কবরে জীবিত তারা সেখানে রিজিকপ্রাপ্ত হন। {ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৬৩৭, ১৬৩৬, সুনানুস সাগীর লিল বায়হাকী, হাদীস নং-৪৬৯, আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৭৮০, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৫৭২, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৪৮৫, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৫৭৫৯}

@
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى عَلَيَّ عِنْدَ قَبْرِي سَمِعْتُهُ وَمَنْ صَلَّى عَلَيَّ نَائِيًا أُبْلِغْتُهُ

হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ব্যক্তি আমার কবরের পাশে এসে সালাম দিলে আমি তা শুনতে পাই, আর যে আমার কাছে সালাম পাঠায়, তা আমার কাছে পাঠানো হয়ে থাকে। {মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং-৯৩৪,কানযুল উম্মাল,হাদীস নং-২১৬৫,শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-১৪৮১} @ 
অথচ মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন বলেন,

وَلَا تَقُولُوا لِمَن يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتٌ ۚ بَلْ أَحْيَاءٌ وَلَٰكِن لَّا تَشْعُرُونَ
আল্লাহর পথে যারা নিহত (শহীদ) হয়, তোমরা তাদেরকে মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত। তবে তা তোমরা উপলব্ধি করতে পারো না।
দেখুনঃ- সূরাহ বাকারা, আয়াত নং ১৫৪ ।
@
وَلَا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا ۚ بَلْ أَحْيَاءٌ عِندَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ
যারা আল্লাহর পথে নিহত (শহীদ) হয়েছে, তোমরা তাদেরকে মৃত জ্ঞান করো না। বরং তারা জীবিত; তাদের রব-প্রতিপালকের নিকট তারা রিযিকপ্রাপ্ত হয়।
দেখুনঃ- সূরাহ আলে ইমরান, আয়াত নং ১৬৯ ।
@এভাবে হুজুর সাঃ বলেনঃ-أَرْوَاحهمْ فِي جَوْف طَيْر خُضْرٍ لَهَا قَنَادِيل مُعَلَّقَة بِالْعَرْشِ تَسْرَح مِنْ الْجَنَّة حَيْثُ شَاءَتْ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেনঃ- শহীদগণের রূহ সবুজ রঙের পাখির পেটের ভিতরে বিশেষ সম্মানিত অবয়বে অনন্য জীবন লাভ করে। আর তাদের জন্য আরশে প্রদীপসমূহ লটকানো হয়। তারা জান্নাতে যেখানে খুশী বিচরণ করেন।”
দেখুনঃ- সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৮৮৭ ।
@
الشُّهَدَاءُ عَلَى بَارِقِ نَهْرٍ بِبَابِ الْجَنَّةِ ، وَيَظْهَرُ بِبَابِ الْجَنَّةِ فِي قُبَّةٍ خَضْرَاءَ يَخْرُجُ عَلَيْهِمْ رِزْقُهُمْ مِنَ الْجَنَّةِ بُكْرَةً وَعَشِيًّا
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেনঃ- শহীদগণ জান্নাতের দ্বারে নির্ঝরণীর ঝলকে সবুজ গম্বুজের মধ্যে অবস্হান করেন। তখন জান্নাত থেকে সকাল ও সন্ধ্যায় তাদের নিকট রিযিক আগমন করে।”
দেখুনঃ- মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ২৩৮৬
@@এদিকে কবরের দুনিয়ায় নবিগন জীবিত এই বিষয়ে বিভিন্ন হাদিস রয়েছে ।

الأَنْبِيَاءُ أَحْيَاءٌ فِي قُبُورِهِمْ يُصَلُّونَ
হযরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই নবীগণ কবরে জীবিত; তারা নামায পড়েন।
দেখুনঃ- বাইহাক্বী-হায়াতুল আম্বিয়া, ১৫ খণ্ড, ১৪৮ পৃষ্ঠা । মুসনাদে বাযযার, হাদীস নং ৬৩৯১। মুসনাদে আবী ইয়া‘লা, হাদীস নং ৩৪২৫ ।
@
مَرَرْتُ عَلَى مُوسَى لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي عِنْدَ الْكَثِيبِ الأَحْمِرِ وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي قَبْرِهِ
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেনঃ- যেই রাতে আমাকে মি’রাজে নেয়া হলো সেই রাতে যখন আমি মূসা (আ.) এর নিকট এলাম এমতাবস্থায় যে, তিনি লাল বালুকাস্তুপের নিকট স্বীয় কবরে দাঁড়িয়ে নামায পড়ছিলেন।
দেখুনঃ- সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৯৮১ । মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ১২৫০৪ । সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ১৬৩১ ।

@
إِنَّ الأَنْبِيَاءَ لا يُتْرَكُونَ فِي قُبُورِهِمْ بَعْدَ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً , وَلَكِنَّهُمْ يُصَلُّونَ بَيْنَ يَدَيِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ حَتَّى يُنْفَخَ فِي الصُّورِ
হযরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেনঃ- নবীগণ তাঁদের কবরে চল্লিশদিন অতিবাহিত হওয়ার পর নিবৃত্ত থাকেন না এ ছাড়া যে, তারা মহান আল্লাহর সমীপে নামায পড়তে থাকেন। আর তা অব্যাহত থাকবে যাবত (কিয়ামতের জন্য) শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হয়।
দেখুনঃ- মুসনাদে আবু ইয়া‘লা, হাদীস নং ৩৪২৮ । মুসনাদে বায্‌যার, হাদীস নং ৬৩৯৬ । দেখুনঃ- মাজমাউয যাওয়ায়িদ, ৪র্থ খণ্ড, ২১১ পৃষ্ঠা ।
@
إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ حَرَّمَ عَلَى الْأَرْضِ أَجْسَادَ الْأَنْبِيَاءِ فنبيُّ الله حيٌّ يُرْزَق
হযরত আবু দারদা (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেনঃ- আল্লাহ তা‘আলা যমিনের উপর হারাম করে দিয়েছেন যে, নবীগণের শরীর খাবে। তাই আল্লাহর নবী মাত্রই জীবিত এবং রিযিকপ্রাপ্ত হন।
দেখুনঃ- সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১৬৩৭
কবরে হুজুর সাঃ জীবিত এবারে এই বিষয়ে কিছু হাদিস আপনাদের সামনে তুলে ধরব ।
@
عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْثِرُوا الصَّلَاةَ عَلَيَّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَإِنَّهُ مَشْهُودٌ تَشْهَدُهُ الْمَلَائِكَةُ وَإِنَّ أَحَدًا لَنْ يُصَلِّيَ عَلَيَّ إِلَّا عُرِضَتْ عَلَيَّ صَلَاتُهُ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْهَا قَالَ قُلْتُ وَبَعْدَ الْمَوْتِ قَالَ وَبَعْدَ الْمَوْتِ إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ عَلَى الْأَرْضِ أَنْ تَأْكُلَ أَجْسَادَ الْأَنْبِيَاءِ فَنَبِيُّ اللَّهِ حَيٌّ يُرْزَقُ
হযরত আবুদ দারদা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন তোমরা জুমু‘আর দিনে বেশী করে দরূদ পড়ো কেননা, এদিন উপস্থিতির দিন-ফেরেশতাগণ এদিনে উপস্থিত হন আর তোমাদের কেউ  যখনই আমার প্রতি দরূদ পড়ে, তখনই সেই দরূদ আমার নিকট পেশ করা হয়-এ পর্যন্ত যে, সে দরূদ পড়া থেকে ফারেগ হয়।” হযরত আবুদ দারদা (রা.) বলেন, আমি বললাম আপনার ওফাতের পরও তা হবে? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন-( আমার) ওফাতের পরও তা হবে কারণ, আল্লাহ তা‘আলা যমিনের ওপর হারাম করেছেন যে, নবীগণের শরীর ভক্ষণ করবে কাজেই নবীগণ জীবিত এবং রিযিকপ্রাপ্ত হন।
দেখুনঃ- সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১০৮৫
@
ﻋَﻦْ ﺃَﻭْﺱِ ﺑْﻦِ ﺃَﻭْﺱٍ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺇِﻥَّ ﻣِﻦْ ﺃَﻓْﻀَﻞِ ﺃَﻳَّﺎﻣِﻜُﻢْ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﺠُﻤُﻌَﺔِ ﻓِﻴﻪِ ﺧُﻠِﻖَ ﺁﺩَﻡُ ﻭَﻓِﻴﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺨَﺔُ ﻭَﻓِﻴﻪِ ﺍﻟﺼَّﻌْﻘَﺔُ ﻓَﺄَﻛْﺜِﺮُﻭﺍ ﻋَﻠَﻲَّ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻓِﻴﻪِ ﻓَﺈِﻥَّ ﺻَﻠَﺎﺗَﻜُﻢْ ﻣَﻌْﺮُﻭﺿَﺔٌ ﻋَﻠَﻲَّ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺭَﺟُﻞٌ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻛَﻴْﻒَ ﺗُﻌْﺮَﺽُ ﺻَﻠَﺎﺗُﻨَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﻭَﻗَﺪْ ﺃَﺭَﻣْﺖَ ﻳَﻌْﻨِﻲ ﺑَﻠِﻴﺖَ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺣَﺮَّﻡَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺃَﻥْ ﺗَﺄْﻛُﻞَ ﺃَﺟْﺴَﺎﺩَ ﺍﻟْﺄَﻧْﺒِﻴَﺎﺀِ
হযরত আউস ইবনে আউস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন নিশ্চয়ই তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম দিন হচ্ছে জুমু‘আর দিন এদিনে হযরত আদম (আ.)কে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং এদিনে সিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে আর এদিনে সবাই সেই আওয়াজে বেহুঁশ হয়ে যাবে সুতরাং এদিনে তোমরা আমার প্রতি বেশী করে দরূদ শরীফ পড়ো। কেননা, তোমাদের দরূদ আমার নিকট পৌঁছানো হবে। এ সময় জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করলেন--ইয়া রাসূলুল্লাহ! (আপনার ওফাতের পর) যখন আপনি মাটিতে গলে যাবেন, সে অবস্থায় আপনার নিকট কিভাবে আমাদের দরূদ পৌঁছানো হবে ?  তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করলেন--“নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা যমিনের ওপর হারাম করেছেন যে, নবীগণের শরীর ভক্ষণ করবে।
দেখুনঃ- সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ১০৪৮ । সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ১৩৭৩ । ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১০৮৫ ।
@
مَا مِنْ أَحَدٍ يُسَلِّمُ عَلَيَّ إِلَّا رَدَّ اللهُ عَلَيَّ رُوحِي حتَّى أرُدَّ عَلَيْهِ السَّلامَ
যে কেউ আমার প্রতি সালাম প্রেরণ করবে, আল্লাহ তা‘আলা আমার রূহ ফিরিয়ে দিবেন, তখন আমি তার সালামের উত্তর প্রদান করবো।
দেখুনঃ- সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ২০৪১ । বাইহাকী-সুনানে কুবরা, হাদীস নং ১০২৭০
@
إِنَّ لِلَّهِ مَلائِكَةً سَيَّاحِينَ فِي الأَرْضِ يُبَلِّغُونِي عَنْ أُمَّتِيَ السَّلامَ
নিশ্চয় আল্লাহর অনেক বিচরণকারী ফেরেশতা রয়েছেন-যারা আমার নিকট আমার উম্মতের সালাম পৌঁছে দেন।
দেখুনঃ- সুনানে নাসায়ী, ২য় খণ্ড, ২৪১ পৃষ্ঠা । সহীহ ইবনে হাব্বান, হাদীস নং ৯১৪ । মুসতাদরাকে হাকিম, হাদীস নং ৪২১২ ।
 @@রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা মুবারকের নিকটে এসে কেউ সালাম পেশ করলে, তা রাসূলুল্লাহ (সা.) সরাসরি শুনতে পান এবং তার উত্তর দেন আর দূর থেকে তার নিকট দরূদ ও সালাম পাঠ করা হলে, তা ফেরেশতাগণের মাধ্যমে তাঁর নিকট পৌঁছানো হবে এ মর্মে হাদীস শরীফে হযরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে,مَنْ صَلَّى عَلَيَّ عِنْدَ قَبْرِي سَمِعْتُهُ ، وَمَنْ صَلَّى عَلَيَّ بَعِيْدًا أُعْلِمْتُه
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেনঃ- যে কেউ আমার কবরের নিকটে এসে আমার প্রতি দরূদ পড়বে, আমি তা নিজেই শুনবো এবং যে দূর থেকে আমার প্রতি দরূদ পড়বে, তা আমাকে জানানো হবে।”
দেখুনঃ- আল-কাওলুল বাদী‘ লিল-সাখাবী, ৩য় খণ্ড, ৯২৯ পৃ্‌ষ্ঠা । আল-লাআলী লিল-সুয়ূতী, ১ম খণ্ড, ২৮৩ পৃষ্ঠা । ফাতহুল বারী, ৬ষ্ঠ খণ্ড, ৩৭৯ পৃষ্ঠা ।
@
وَصَلُّوا عَلَيَّ فَإِنَّ صَلاتَكُمْ تَبْلُغُنِي حَيْثُ كُنْتُمْ
এ সম্পর্কে হযরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন আমার প্রতি দরূদ পড়ো। কেননা, তোমাদের দরূদ আমার নিকট পৌঁছে তোমরা যেখানেই থাকো।
দেখুনঃ- মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ, ২য় খণ্ড, ৩৭৫ পৃষ্ঠা । মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ৮৫৮৬ । তাবরানী কাবীর, হাদীস নং ২৮২৯ ।
@
حَيَاتِي خَيْرٌ لَكُمْ تُحَدِّثُونَ وَيُحَدَّثُ لَكُمْ، فَإِذَا أَنَا مُتُّ كَانَتْ وَفَاتِي خَيْرًا لَكُمْ، تُعْرَضُ عَلَيَّ أَعْمَالُكُمْ فَإِنْ رَأَيْتُ خَيْرًا حَمِدْتُ اللَّهَ، وَإِنْ رَأَيْتُ غَيْرَ ذَلِكَ اسْتَغْفَرْتُ اللَّهَ لَكُمْ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেনঃ- আমার জীবন তোমাদের জন্য মঙ্গলময়; তোমরা পরামর্শ করে কাজ করো আর তোমাদেরকে দিকনির্দেশনা দেয়া হয় । এরপর যখন আমি ওফাতবরণ করবো, তখন আমার ওফাত তোমাদের জন্য মঙ্গলময় হবে । তোমাদের আমল আমার নিকট পেশ করা হবে; তাতে আমি যা ভালো দেখবো, সে জন্য মহান আল্লাহর তারীফ করবো আর যা মন্দ দেখবো, আমি আল্লাহর নিকট তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবো।
দেখুনঃ- মুসনাদে বাযযার, হাদীস নং ১৯২৫ । ইবনে সা‘দ, তবাকাতে কুবরা, ২য় খণ্ড, ১৯৪ পৃষ্ঠা । দাইলামী, ১ম খণ্ড, ১৮৪ পৃষ্ঠা ।

উপরে বর্ণিত কোরআনের আয়াত এবং হাদিস দ্বারা প্রমানিত হল যে, মাহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিনের রাস্তায় যারা শহিদ হয় তারা জীবিত । যেহেতু নবিগন শহীদদের থেকেও উত্তম এবং তিনারা কবরে জীবিত । এই বিষয়ে হুজুর সাঃ নিজেই দলিল পেশ করেছেন, মিরাজের রাত্রের ঘটনা দিয়ে । আরো বলেন নবিরা নাময ও পরে আবার আল্লাহ্‌ তাঃ পক্ষ থেকে রিযিক প্রাপ্ত । এদিকে হুজুর সাঃ বলেন তোমরা জুমার দিন বেশী করে দরুদ পাঠ কর কারন এই দিন তিনার কাছে দরুদ পেশ করা হয় । কেউ দূর থেকে সালাম করলে তা ফেরস্তার মাদ্ধ্যমে পাঠানো হয় । কেউ রওজা মোবারকে গিয়ে সালাম দিলে হুজুর সাঃ নিজেই উত্তর দেন ।
সুতরাং উপরের হাদিস দ্বারা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, নবিগন কবরে জীবিত ।
এবং হুজুর সাঃ নিজেও কবরে জবিত   



     ````````````````````````````````````````````****`````````````````````````````````````````````````````````যোগাযোগঃ  Gmail

ইসলামিক শিক্ষা - ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬

মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনিই হচ্ছেন সম্মানিত কুরআন শরীফ, সম্মানিত হাদীছ শরীফ ও পূর্ববর্তী সম্মানিত আসমানী কিতাব মুবারক উনাদের মধ্যে বর্ণিত
-আল্লামা মুহম্মদ আল আমীন।

মহাসম্মানিত ১০ম খলীফা-১ সম্মানিত খিলাফত মুবারক একখানা খাছ মাক্বাম মুবারক: وَعَدَ اللهُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مِنْكُمْ وَعَمِلُوا الصّٰلِـحٰتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِى الْاَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ. অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি ওয়াদা মুবারক দিচ্ছেন যে, যাঁরা ঈমান আনবেন এবং আমলে ছালেহ করবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং নিজে উনাদেরকে অবশ্য অবশ্যই দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত খিলাফত মুবারক হাদিয়া করবেন, যেমন তিনি পূর্ববর্তী উনরাদেরকে হাদিয়া করেছিলেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা নূর শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ- ৫৫) এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, সম্মানিত খিলাফত মুবারক মূলত মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং নিজেই হাদিয়া করে থাকেন। তবে উনাদেরকে হাদিয়া করে থাকেন যাঁরা ঈমান আনেন এবং আমলে ছালেহ (নেক আমল তথা সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার পরিপূর্ণ অনুসরণ-অনুকরণ) করে থাকেন। অর্থাৎ খাছ মাহবূব ব্যক্তিত্ব উনাদেরকে হাদিয়া করে থাকেন। অর্থাৎ সম্মানিত খিলাফত মুবারক হচ্ছে একটা খাছ নিয়ামত বা মাক্বামাত মুবারক। এটা মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার খাছ মাহবূব ব্যক্তিত্ব উনাদেরকে হাদিয়া করে থাকেন। আর উনাদের মুবারক উসীলায় দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন- قُلِ اللّٰهُمَّ مٰلِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِـى الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ. অর্থ: “আপনি বলুন, আয় আল্লাহ পাক! আপনি হচ্ছেন সমস্ত মুলক্ তথা কায়িনাতের মালিক। আপনি যাঁকে ইচ্ছা উনাকে পুরো পৃথিবী বা সমস্ত কায়িনাতের সম্মানিত মালিকানা বা সম্মানিত খিলাফত মুবারক হাদিয়া করে থাকেন।” (সম্মানিত সূরা আলে ইমরান শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ- ২৬) অর্থাৎ সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক ও সম্মানিত রিসালাত মুবারক যেমন খাছ মাক্বাম মুবারক তা চেয়ে পাওয়া যায় না। ঠিক অনুরূপভাবে সম্মানিত খিলাফত মুবারকও একখানা বিশেষ মাক্বাম মুবারক, তা চেয়ে পাওয়া যায় না। তবে মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যাঁকে ইচ্ছা উনাকে এই বিশেষ মাক্বাম মুবারকখানা হাদিয়া করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! এ সম্পর্কে সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- عَنْ حَضْرَتْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالىٰ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ِاِذَا اَرَادَ اللهُ اَن يـَّخْلُقَ خَلْقًا لّـلْـخِلَافَةِ مَسَحَ ناصِيَتَه بِيَدِهٖ. অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মাহবূব ব্যক্তিত্ব বা ওলীউল্লাহ উনাদের মধ্য থেকে কাউকে খলীফা হিসেবে সৃষ্টি করার ইচ্ছা মুবারক পোষণ করেছেন, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে খলীফা হিসেবেই সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি উনার কুদরতী হাত মুবারক উক্ত মাহবূব ব্যক্তিত্ব বা মহান ওলীউল্লাহ উনার কপাল মুবারক-এ বুলিয়ে দিয়েছেন তথা কপাল মুবারক-এ কুদরতী হাত মুবারক বুলিয়ে দিয়ে সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার বিশেষ মাক্বাম মুবারকখানা হাদিয়া করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (তারীখুল খুলাফা-১৪, ফাতহুল কাবীর ১/৬৯, জামিউল আহাদীছ ২/২৪৬, দায়লামী ১/২৪৮ জামউল জাওয়ামি, জামিউছ ছগীর ১/৩০ ইত্যাদি) উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনা থেকে এই বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবে প্রমাণিত হলো যে, সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক ও সম্মানিত রিসালাত মুবারক যেমন খাছ মাক্বাম মুবারক তা চেয়ে পাওয়া যায় না। ঠিক অনুরূপভাবে সম্মানিত খিলাফত মুবারকও একখানা বিশেষ মাক্বাম মুবারক, তা চেয়ে পাওয়া যায় না। তবে মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যাঁকে ইচ্ছা উনাকে এই বিশেষ মাক্বাম মুবারকখানা হাদিয়া করে থাকেন। আর মহান আল্লাহ পাক উনার মাহবূব ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদের মধ্যে যাঁরা দুনিয়ার যমীনে খলীফা হবেন, উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি খলীফা হিসেবেই সৃষ্টি করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি উনার কুদরতী হাত মুবারক উক্ত মাহবূব ব্যক্তিত্ব উনাদের কপাল মুবারক-এ বুলিয়ে দিয়ে, উনাদেরকে সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার বিশেষ মাক্বাম মুবারকখানা হাদিয়া করেছেন। সুবহনাল্লাহ! উল্লেখ্য যে, এখানে খলীফা বা সম্মানিত খিলাফত মুবারক বলতে, যাহিরী খলীফা ও সম্মানিত যাহিরী খিলাফত মুবারক তথা সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক বুঝানো হয়েছে।

ইসলামিক শিক্ষা - ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সমস্ত কায়িনাতের মাঝে অবশ্যই হাযির ও নাযির
-হুমায়রা আহমদ।

আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি জিসিম ও ছূরত মুবারক-এ দুটির কোনো একটি হিসেবে হাযির ও নাযির নন। বরং তিনি ছিফত অর্থাৎ ইলিম ও কুদরত মুবারক উনাদের দ্বারা কায়িনাতের সমস্ত স্থানে হাযির ও নাযির। ঠিক তেমনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিফত অর্থাৎ ইলিম ও মু’জিযা শরীফ দ্বারা এবং সম্মানিত নূর মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে কায়িনাতের সমস্ত স্থানে হাযির ও নাযির। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ উনার ১০৭নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে সারা কায়িনাতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।” পবিত্র সূরা ফাতাহ শরীফ উনার ৯নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক করেন- “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সাক্ষ্যদানকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি।” আমাদের জানতে হবে যিনি সাক্ষ্য দিবেন উনার জন্য যেরূপ হাযির বা উপস্থিত থাকা শর্ত, তদ্রƒপ নাযির বা দেখাও শর্ত। হযরত ইমাম তবারানী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত নঈম ইবনে উমর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এই পৃথিবীকে আমার চোখের সামনে এরূপভাবে রেখেছেন যে,আমি এ সমগ্র পৃথিবীকে এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত তার মধ্যে যা কিছু সৃজিত বা সংঘটিত হবে তৎসমূহকে ওইরূপভাবে দেখি, যেরূপ আমার হাত মুবারক উনার তালু মুবারক দেখে থাকি।” সুবহানাল্লাহ! (তবারানী শরীফ, মিশকাত শরীফ) উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা দিবালোকের ন্যায় সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত রহমত মুবারক, সম্মানিত সাক্ষী হিসেবে অর্থাৎ ছিফত মুবারক হিসেবে সারা কায়িনাতের মাঝে হাযির ও নাযির। সুবহানাল্লাহ! এর বিপরীত আক্বীদা পোষণকারীরা ৭২টি বাতিল ও জাহান্নামী ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত।

আন্তর্জাতিক আরবী ভাষা দিবস ও বাংলাদেশে আরবী চর্চা

১৮ ডিসেম্বর পালিত হলো আন্তর্জাতিক আরবী ভাষা দিবস। ১৯৭৩ সালের এদিনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ২৮তম অধিবেশনে ৩১৯০নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক আরবীকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ১৯০তম অধিবেশনে ১৮ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক আরবী ভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে শুরু হয় আন্তর্জাতিক আরবী ভাষা দিবসের পথ চলা। আরব বিশ্বে দিবসটি যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হলেও শুধুমাত্র মূলধারার মিডিয়ার নির্লিপ্ততার কারণে বাংলাদেশে দিবসটি তেমন কোনো সাড়া জাগাতে পারেনি। অথচ আরবী ভাষার সঙ্গে রয়েছে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর আত্মার সম্পর্ক। এদেশের সর্ব স্তরের জনসাধারণ আরবী ভাষাকে পরম শ্রদ্ধা করেন, মন থেকে ভক্তি করেন ও হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন। কারণ কুরআন হাদীছের ভাষা আরবী, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ভাষা আরবী, জান্নাতের ভাষা আরবী। পবিত্র হাদীছ শরীফে আরবী ভাষাকে মুহব্বত করতে জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে।
তবে আরবী ভাষার যেমন রয়েছে ধর্মীয় গুরুত্ব, তেমনই রয়েছে বৈষয়িক গুরুত্ব। পৃথিবীর প্রায় ৫৮ কোটি জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা আরবী। আর ৫৫ কোটি মানুষ আরবীকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। তবে পৃথীবীর প্রায় সোয়া তশ’ কোটি মুসলমানের প্রাণের ভাষা আরবী। ২৫টি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের দাপ্তরিক ভাষা আরবী। জাতিসংঘের ৬টি দাপ্তরিক ভাষার একটি আরবী। তাই যুগ ও বাস্তবতার নিরিখে আরবী ভাষা বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী একটি ভাষা।
অর্থনৈতিক বিবেচনায়ও আরবী ভাষা বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অর্থনীতির অন্যতম শক্তি ধরা হয় রেমিটেন্স। আর এ রেমিটেন্সের সিংহভাগই অর্জিত আরবী ভাষার দেশসমূহ থেকে। তাই দেশের রেমিটেন্স বাড়ানোর স্বার্থে, দেশের অর্থনীতিকে আর চাঙা করার স্বার্থে, দেশের আয় ও উন্নতির স্বার্থে আরবী ভাষাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গুরুত্ব দেয়া দরকার।
আমাদের দেশ থেকে প্রতি বছর প্রচুর মানুষ জীবিকার তাগিদে আরব দেশগুলোতে যায়। অথচ আরবী ভাষার সঙ্গে তাদের পূর্ব কোনো সম্পর্ক থাকে না। আরবী ভাষার সঙ্গে মোটামুটি সম্পর্ক থাকলে এ লোকগুলো আরব দেশে নিজেদের অবস্থান আরো মজবুত করতে পারতো। নিজেদের ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা আরো বেশি আদায় করে নিতে পারতো।
সরকার একটু উদ্যোগী হলে অনেক কিছুই করতে পারে। দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের স্বার্থে সরকার আরব দেশে গমনেচ্ছুক শ্রমিকদের জন্য স্বল্প মেয়াদে ব্যবহারিক আরবী ভাষা শিক্ষাকোর্স চালু করতে পারে। এর সুদূর প্রসারী প্রভাব পড়বে রেমিটেন্সের উপর।
ইসলামের সঙ্গে এ জনপদের সম্পর্ক হাজার বছরেরও বেশি। সুদীর্ঘ এই সময়ের প্রতিদিন এ ভূখন্ডের মানুষ নিদ্রা ত্যাগ করে নতুন দিনের যাত্রা শুরু করে যে আজানের সুমধুর সুর শোনে তা-ও কিন্তু আরবী ভাষার কিছু বাক্য। দলমত নির্বিশেষে এদেশের লক্ষ-কোটি মানুষ সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে প্রতিদিন সামান্য হলেও পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করে থাকে। তারও ভাষা আরবী।
এদেশের ৫ লক্ষাধিক মসজিদে প্রতিদিন পাঁচবেলা দলবদ্ধভাবে ও এককভাবে যে নামায পড়া হয় তার ভাষাও আরবী। একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান তিনি যে দল ও মতের হোন কেন; নামাযের কারণে প্রতিদিন তাঁকে কম করে হলেও মোট আধা ঘণ্টা সময় নিবীড়ভাবে আরবী ভাষার সঙ্গে কাটাতে হয়। প্রতি সপ্তাহের জুমুয়াবারে তাকে দশ মিনিট আরবীতে খুতবা শুনতে হয়। এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী তাদের জন্মের পর মুহূর্তে সর্বপ্রথম যে শব্দ শোনে, যে বাক্যগুলো দিয়ে পৃথিবীর নতুন জীবনে তারা বরণীয় হয়, সমাদৃত হয়, অভিনন্দিত হয়- সেই আজানের ভাষাও আরবী। আবার পৃথিবী থেকে তাকে চিরবিদায় দেয়া হয় আরবী ভাষায়। জানাযার নামায, লাশ কবরে রাখার দোয়া, কবর মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়ার দোয়া সবই আরবীতে। তাই আরবী ভাষার সঙ্গে এদেশের মানুষের সম্পর্ক জন্ম-মৃত্যুর সম্পর্ক। শুধু জন্ম-মৃত্যু নয়; বরং জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নিত্যদিনের সম্পর্ক। এ সম্পর্ক সুকঠিন এক গভীর সম্পর্ক।
তুলনামূলকভাবে বিদেশী ভাষাগুলোর মধ্যে আরবী ভাষা অনেক সহজ। সামান্য উদ্যোগ নিলে মানুষের জন্য আরবী ভাষা শেখার সহজ পথ ও পন্থা বের করা সম্ভব। সঙ্গতকারণেই এবারের আন্তর্জাতিক আরবী ভাষা দিবসের দাবি হোক- মুসলিম দেশের শিক্ষার সর্বস্তরে আরবী ভাষার অন্তর্ভুক্তি।

ঈমানে মূল্য কত জানেন?

আসুন একটা হিসাব করা যাক,
পৃথিবীর ভর ৫.৯৭২৩৭x১০^২৪ কেজি।
১১.৬৬৪ গ্রাম = ১ ভরি
১ কেজি = ৮৫.৭৩৪ ভরি
৫.৯৭২৩৭x১০^২৪ কেজি = ৮৫.৭৩৪ x ৫.৯৭২৩৭x১০^২৪ ভরি
= ৫১২.০৩৫x১০^২৪ ভরি
= ৫,১২,০৩৫,০০,০০,০০০,০০,০০,০০০,০০,০০,০০০ ভরি।
৫ লাখ ১২ হাজার ৩৫ কোটি কোটি কোটি ভরি (প্রায়)
১ ভরি সোনার বাজার দর ৪৮০০০ হাজার টাকা।
সূতরাং পৃথিবীর ওজনকে টাকায় রুপান্তর করলে,
(৫,১২,০৩৫,০০,০০,০০০,০০,০০,০০০,০০,০০,০০০x ৪৮০০০)
=২৪৫৭৭৬৮০ ০০,০০,০০০,০০,০০,০০০,০০,০০,০০০০০০ টাকা।
এবার আসুন মহান আল্লাহ পাক কি বলেছেন দেখা যাক,
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَمَاتُوا وَهُمْ كُفَّارٌ فَلَن يُقْبَلَ مِنْ أَحَدِهِم مِّلْءُ الْأَرْضِ ذَهَبًا وَلَوِ افْتَدَىٰ بِهِ ۗ أُولَـٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ وَمَا لَهُم مِّن نَّاصِرِينَ
“যদি সারা পৃথিবী পরিমাণ স্বর্ণও তার (ঈমানহীনতার) পরিবর্তে দেয়া হয়, তবুও যারা কাফের হয়েছে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে তাদের তওবা কবুল করা হবে না। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব! পক্ষান্তরে তাদের কোনই সাহায্যকারী নেই।” (সূরা আল ইমরান ৯১)
কুফরীর বিপরীত হচ্ছে ঈমান। সূতরাং আমারা দেখতে পেলাম ঈমানের দাম কত বেশি। এত বিপুল পরিমান টাকাও ঈমানের পরিবর্তে ফিদিয়া হিসাবে দিলেও জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচা যাবে না।
আর ঈমানের সংজ্ঞায় হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
لا يؤمن احدكم حتي اكون احب اليه من والده ووالده والناس اجمعين وفي رواية من ماله و نفسه
অর্থ : তোমরা কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার পিতা-মাতা, সন্তান সন্তুতি, এবং সমস্ত মানুষ অপেক্ষা নবীজী ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বেশি মুহব্বত না করবে। অন্য বর্নায় এসেছে, তার ধন সম্পদ এবং জীবনের চাইতে বেশি মুহব্বত না করবে।” (দলীল- বুখারী শরীফ ১/৭-কিতাবুল ঈমান- হাদীস নম্বর ১৪ এবং ১৫, মু’জামুল আওসাত লিত তাবারানী ৫৯৪০, মুজামুল কবীর ৬৩০০, শুয়াইবুল ঈমান ১৪১৮আবু ইয়ালা ৩৮৪২)
যেটা বোঝা গেলো, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জীবনের চাইতে বেশি মুহব্বত হচ্ছে ঈমান।
আর মুহব্বত বিহীন বা ঈমান না নিয়ে মরে গেলে দুনিয়া পরিমান স্বর্ণ বা ২৪৫৭৭৬৮০ ০০,০০,০০০,০০,০০,০০০,০০,০০,০০০০০০ টাকা ফিদিয়া দিলেও কাফিরই থাকতে হবে। জাহান্নাম থেকে বাঁচা যাবে না। বিভিন্ন ফরয আমল যেমন নামাজ, রোজার না করে মারা গেলেও এর একটা নামমাত্র মূল্য ফিদিয়া আছে। কিন্তু ঈমানের সাথে কোন খাতির নাই। কোন ফিদিয়াই কাজে লাগবে না।
যারা নবী বিদ্বেষী, নবীজীকে মুহব্বত করতে পারে না, নবীজীর আগমনে যারা খুশি হতে পারে না, নবীজীকে নিজেদের মত মানুষ মনে করে, প্রচার করে ৪০ বছর আগে নবীজীর কোন দামই ছিলো না (নাউযুবিল্লাহ) এদের পরিনাম কি হবে? কিভাবে এরা আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচতে পারবে ?
আর আমারা যারা নবীজীর প্রতি ঈমান এনেছি, মুহব্বত করতে পেরেছি তাদের উচিত শুকরিয়া আদায় করা, অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুকরিয়া আদায় করা। অন্তরের অন্তস্থল থেকে খুশি প্রকাশ করা। এই যে নিয়ামত আমারা পেয়েছি, যা এত মূল্যবান। এই নিয়ামত পেয়ে কি পরিমান খুশি প্রকাশ করতে হবে একটু ফিকির করুন।
আর বিদ্বেষীরা বিরোধীতা ছেড়ে আল্লাহ পাককে ভয় করো। তওবা করে ফিরে আসো।

পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরজে আইন, এ বিষয়ে কুরআন শরীফ থেকে দলীল-ধারাবাহিক।

পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরজে আইন, এ বিষয়ে কুরআন শরীফ থেকে দলীল-ধারাবাহিক।
********************************************
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে উনার আগমন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ কারাই হচ্ছে স্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবিবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
আমরা বিগত পোষ্টে দেখেছি কুরআন শরীফে স্বয়ং আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি নিজে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন উপলক্ষে খুশি বা ঈদ পালন করতে বলছেন। মূলত কুরআন শরীফে অনেক জায়গায় আল্লাহ পাক ঈদ পালন করতে বলেছেন, উনার প্রদত্ত নিয়ামতকে স্মরন করতে বলেছেন। আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন,
اذكروا نعمة الله عليكم
অর্থ : তোমাদের যে নিয়ামত দেয়া হয়েছে, তোমরা সে নিয়ামতকে স্মরন করো !” ( সূরা আল ইমরান ১০৩)
প্রশ্ন হচ্ছে, আল্লাহ পাক উনার সবচাইতে বড় নিয়ামত কি ?
এ ব্যাপারে সমস্ত জগৎবাসী একমত যে, আল্লাহ পাক উনার সবচাইতে বড় নিয়মত হচ্ছেন ” হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ” !
শুধু তাই নয় সমস্ত জাহানের সকল নিয়মাত হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই হাদীয়া করা হয়েছে।
আর হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন ” আন নি’মাতিল কুবরা আলাল আলাম” !
অর্থাৎ, সমস্ত কায়িনাতের সবচাইতে বড় নিয়ামত ! সুবহানাল্লাহ্ !!
আর আল্লাহ পাক সূরা আল ইমরান ১০৩ নং আয়াত শরীফে সেটাই বলছেন, তোমাদের যে নিয়ামত ( হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেয়া হয়েছে, তোমরা সে নিয়ামত উনার যিকির করো, স্বরন করো, আলোচনা করো , খুশি করো !
সুবহানাল্লাহ্ !!
সূতরাং উক্ত আয়াত শরীফ থেকেও বুঝা যাচ্ছে, সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে উনার স্বরনে খুশি প্রকাশ করা আল্লাহ পাক উনার আদেশ।
বিশেষ নিয়ামত প্রাপ্তির দিন মুবারক যে ঈদের দিন সেটা স্পষ্ট কুরআন শরীফে আছে। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন,
اللهم ربنا انزل علينا ماءدة من السماء تكون لنا عيدا لاولنا واخرنا
অর্থ : আয় আমাদের রব আল্লাহ পাক ! আমাদের জন্য আপনি আসমান হতে ( বেহেশতী খাদ্যের) খাদ্যসহ একটি খাঞ্চা নাযিল করুন। খাঞ্চা নাযিলের উপলক্ষটি অর্থাৎ যেদিন খাঞ্চা নাজিল হবে সেদিনটি আমাদের জন্য, আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ স্বরূপ হবে !” ( সূরা মায়িদা ১১৪)
উক্ত আয়াত শরীফে কি বুঝা গেল ? হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার উম্মতের জন্য আসমান থেকে একটি খাঞ্চা ভর্তি খাবার চাইলেন, এবং এই নিয়মত পূর্ন খাবার নাযিল হওয়ার দিনটা উনার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ হবে বললেন।
এই খাদ্য সহ খাঞ্চা নাযিল হওয়ার দিন যদি ঈদের দিন হয় ,, তাহলে সমগ্র জগৎ এর নিয়মাত, সকল নিয়মতের মূল , নি’মাতুল কুবরা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের দিন মুবারক কি ঈদ হবে না ?
খুশি করা যাবে না ??
অবশ্যই হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের দিন ঈদ হবে, শুধুমাত্র ঈদ ই হবেনা বরং কুল কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ হবে !
সুবহানাল্লাহ্ !! আল্লাহ পাক আমাদের উপলব্ধি করার তৌফিক দান করুন ! আমীন !

Dollar buy & sell bkash bangla tutorial