Monday, December 19, 2016

পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরজে আইন, এ বিষয়ে কুরআন শরীফ থেকে দলীল-ধারাবাহিক।

পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরজে আইন, এ বিষয়ে কুরআন শরীফ থেকে দলীল-ধারাবাহিক।
********************************************
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে উনার আগমন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ কারাই হচ্ছে স্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবিবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
আমরা বিগত পোষ্টে দেখেছি কুরআন শরীফে স্বয়ং আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি নিজে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন উপলক্ষে খুশি বা ঈদ পালন করতে বলছেন। মূলত কুরআন শরীফে অনেক জায়গায় আল্লাহ পাক ঈদ পালন করতে বলেছেন, উনার প্রদত্ত নিয়ামতকে স্মরন করতে বলেছেন। আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন,
اذكروا نعمة الله عليكم
অর্থ : তোমাদের যে নিয়ামত দেয়া হয়েছে, তোমরা সে নিয়ামতকে স্মরন করো !” ( সূরা আল ইমরান ১০৩)
প্রশ্ন হচ্ছে, আল্লাহ পাক উনার সবচাইতে বড় নিয়ামত কি ?
এ ব্যাপারে সমস্ত জগৎবাসী একমত যে, আল্লাহ পাক উনার সবচাইতে বড় নিয়মত হচ্ছেন ” হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ” !
শুধু তাই নয় সমস্ত জাহানের সকল নিয়মাত হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই হাদীয়া করা হয়েছে।
আর হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন ” আন নি’মাতিল কুবরা আলাল আলাম” !
অর্থাৎ, সমস্ত কায়িনাতের সবচাইতে বড় নিয়ামত ! সুবহানাল্লাহ্ !!
আর আল্লাহ পাক সূরা আল ইমরান ১০৩ নং আয়াত শরীফে সেটাই বলছেন, তোমাদের যে নিয়ামত ( হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেয়া হয়েছে, তোমরা সে নিয়ামত উনার যিকির করো, স্বরন করো, আলোচনা করো , খুশি করো !
সুবহানাল্লাহ্ !!
সূতরাং উক্ত আয়াত শরীফ থেকেও বুঝা যাচ্ছে, সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে উনার স্বরনে খুশি প্রকাশ করা আল্লাহ পাক উনার আদেশ।
বিশেষ নিয়ামত প্রাপ্তির দিন মুবারক যে ঈদের দিন সেটা স্পষ্ট কুরআন শরীফে আছে। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন,
اللهم ربنا انزل علينا ماءدة من السماء تكون لنا عيدا لاولنا واخرنا
অর্থ : আয় আমাদের রব আল্লাহ পাক ! আমাদের জন্য আপনি আসমান হতে ( বেহেশতী খাদ্যের) খাদ্যসহ একটি খাঞ্চা নাযিল করুন। খাঞ্চা নাযিলের উপলক্ষটি অর্থাৎ যেদিন খাঞ্চা নাজিল হবে সেদিনটি আমাদের জন্য, আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ স্বরূপ হবে !” ( সূরা মায়িদা ১১৪)
উক্ত আয়াত শরীফে কি বুঝা গেল ? হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার উম্মতের জন্য আসমান থেকে একটি খাঞ্চা ভর্তি খাবার চাইলেন, এবং এই নিয়মত পূর্ন খাবার নাযিল হওয়ার দিনটা উনার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ হবে বললেন।
এই খাদ্য সহ খাঞ্চা নাযিল হওয়ার দিন যদি ঈদের দিন হয় ,, তাহলে সমগ্র জগৎ এর নিয়মাত, সকল নিয়মতের মূল , নি’মাতুল কুবরা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের দিন মুবারক কি ঈদ হবে না ?
খুশি করা যাবে না ??
অবশ্যই হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের দিন ঈদ হবে, শুধুমাত্র ঈদ ই হবেনা বরং কুল কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ হবে !
সুবহানাল্লাহ্ !! আল্লাহ পাক আমাদের উপলব্ধি করার তৌফিক দান করুন ! আমীন !

No comments:

Post a Comment

Dollar buy & sell bkash bangla tutorial